Preventive Care
2 মিনিট পড়ার সময়
অসংক্রামক ব্যাধি ১
সাম্প্রতিক অসংক্রামক ব্যাধির জরিপ এবং রোগ প্রতিরোধ, চিকিতসায় করনীয়

Dr. Srijony Ahmed
Medical Professional
18 day(s) ago
5 বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশ জনসং্খ্যা ও স্বাস্থ্য সমীক্ষা ২০২২ এর ১৩,৯৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহনকারীর উপর জরিপ অনুযায়ী দেশে উচ্চ রক্তচাপের প্রাদুর্ভাব ২০.৪৭%, ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব ১৫.৬৫%, প্রি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৩২.৬%। ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের হার সর্বোচ্চ- ৩৯.৩৮%, আনুষ্ঠানিক শিক্ষাহীনদের মধ্যে হার ২৯.৫৩%, অতিরিক্ত ওজনধারী ব্যক্তিদের মধ্যে হার ৩১.২৪%।
ডায়াবেটিসও ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে ২২.৯২%, অতিরিক্ত ওজনধারীদের মধ্যে ২২.১৭%।শহরাঞ্চল এবং উচ্চ আয়ের শ্রেনীতে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের হার তুলনামূলক বেশি।
এই অসংক্রামক রোগগুলো জীবনযাত্রার মান অনেকটাই ব্যহত করে। কারন ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের সঠিক চিকিতসা না হলে তা চোখ, হৃদপিন্ড, মস্তিষ্ক এবং কিডনী কে একসময় অকেজো করে ফেলে। আর উচ্চরক্তচাপ এক নীরব ঘাতক। কোন নির্দিষ্ট লক্ষন ছাড়াই শরীরে বাসা বানিয়ে বসে থাকতে পারে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের চিকিতসা ব্যহত হয় কিছু প্রচলিত ধারনার কারনে। যেমন-
১.উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়বে এই ভয়ে অনেকে রক্তচাপ মাপেন না। যুক্তিটা থাকে যে রক্তচাপ মেপে 'টেনশন' হলে তাতে বরং তার ক্ষতি হবে। কিন্তু আদতে শরীরের কোন মাত্রা না জানলেই যে আর কোন বিষয়ে 'টেনশন' থাকবেনা জীবনে তা কিন্তু না। তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপানো দরকার৷ বিশেষ করে যাদের পারিবারিক ইতিহাস আছে উচ্চ রক্তচাপের, ওজন অনিয়ন্ত্রিত, ধুমপানের অভ্যাস আছে, ডায়াবেটিস আছে, ৪০ বছর থেকে বেশি বয়স।
২. তেতুল বা টক জাতীয় খাবার খেলে রক্ত তরল হয়ে রক্তচাপ কমে: এরকম কোন বিষয় নাই৷ রক্ত কে জমাট বাঁধতে বাধা দেয় নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ। তেতুল এবং অন্য টক ফলের অন্য অনেক গুনাগুন থাকলেও রক্তচাপ কমাতে এদের সরাসরি এরকম জাদুকরী ভূমিকা নাই৷
৩. ঘাড়ে বা মাথায় ব্যথা করলেই রক্তচাপের ওষুধ খেতে হয়: অনেকেই চিকিতসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তচাপের ওষুধ কিনেন ঠিকই, কিন্তু হঠাত হঠাত খান এবং সেটা কোন কারনে ঘাড়ে মাথায় ব্যথা হলে তখন। বাস্তবতা হচ্ছে ঘাড় মাথা ব্যথা হওয়ার অন্য অনেক কারন থাকলেও উচ্চরক্তচাপের সাথে এরকম সরাসরি সম্পর্ক নাই। আর উচ্চ রক্তচাপের জন্য স্ট্রোক হয়ে যেই মাথা ব্যথা হয়, সেটা এত তীব্র যে রুগীকে ওষুধ খাওয়ার সময় বা সুযোগ দিবেনা। তাই চিকিতসক ব্যবস্থা পত্রে দিয়ে থাকলে সেভাবে নিয়মানুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
ধহরাঞ্চল
ডায়াবেটিসও ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে ২২.৯২%, অতিরিক্ত ওজনধারীদের মধ্যে ২২.১৭%।শহরাঞ্চল এবং উচ্চ আয়ের শ্রেনীতে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের হার তুলনামূলক বেশি।
এই অসংক্রামক রোগগুলো জীবনযাত্রার মান অনেকটাই ব্যহত করে। কারন ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের সঠিক চিকিতসা না হলে তা চোখ, হৃদপিন্ড, মস্তিষ্ক এবং কিডনী কে একসময় অকেজো করে ফেলে। আর উচ্চরক্তচাপ এক নীরব ঘাতক। কোন নির্দিষ্ট লক্ষন ছাড়াই শরীরে বাসা বানিয়ে বসে থাকতে পারে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের চিকিতসা ব্যহত হয় কিছু প্রচলিত ধারনার কারনে। যেমন-
১.উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়বে এই ভয়ে অনেকে রক্তচাপ মাপেন না। যুক্তিটা থাকে যে রক্তচাপ মেপে 'টেনশন' হলে তাতে বরং তার ক্ষতি হবে। কিন্তু আদতে শরীরের কোন মাত্রা না জানলেই যে আর কোন বিষয়ে 'টেনশন' থাকবেনা জীবনে তা কিন্তু না। তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপানো দরকার৷ বিশেষ করে যাদের পারিবারিক ইতিহাস আছে উচ্চ রক্তচাপের, ওজন অনিয়ন্ত্রিত, ধুমপানের অভ্যাস আছে, ডায়াবেটিস আছে, ৪০ বছর থেকে বেশি বয়স।
২. তেতুল বা টক জাতীয় খাবার খেলে রক্ত তরল হয়ে রক্তচাপ কমে: এরকম কোন বিষয় নাই৷ রক্ত কে জমাট বাঁধতে বাধা দেয় নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ। তেতুল এবং অন্য টক ফলের অন্য অনেক গুনাগুন থাকলেও রক্তচাপ কমাতে এদের সরাসরি এরকম জাদুকরী ভূমিকা নাই৷
৩. ঘাড়ে বা মাথায় ব্যথা করলেই রক্তচাপের ওষুধ খেতে হয়: অনেকেই চিকিতসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তচাপের ওষুধ কিনেন ঠিকই, কিন্তু হঠাত হঠাত খান এবং সেটা কোন কারনে ঘাড়ে মাথায় ব্যথা হলে তখন। বাস্তবতা হচ্ছে ঘাড় মাথা ব্যথা হওয়ার অন্য অনেক কারন থাকলেও উচ্চরক্তচাপের সাথে এরকম সরাসরি সম্পর্ক নাই। আর উচ্চ রক্তচাপের জন্য স্ট্রোক হয়ে যেই মাথা ব্যথা হয়, সেটা এত তীব্র যে রুগীকে ওষুধ খাওয়ার সময় বা সুযোগ দিবেনা। তাই চিকিতসক ব্যবস্থা পত্রে দিয়ে থাকলে সেভাবে নিয়মানুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
ধহরাঞ্চল
ট্যাগসমূহ
#উচ্চরক্তচাপ
#প্রচলিত ভুল ধারনা
#ডায়াবেটিস
#অসংক্রামক ব্যাধি
0 মন্তব্য
