Cardiology
2 মিনিট পড়ার সময়
ঘাড়ে ব্যথা; লো প্রেশার না হাই প্রেশার?
পর্ব ১: ঘাড়ে ব্যথা হলেই কি প্রেশার? জেনে নিন এই লেখা থেকে।

dr. mihir kanti adhikari
Medical Professional
107 day(s) ago
155 বার দেখা হয়েছে

ঘাড় ব্যথা একটি খুব সাধারণ সমস্যা। যে কোন বয়সে হলেও চল্লিশের আশে পাশের বয়স থেকে এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি ভাবে শুরু হয়।
প্রেশারের কারণে এমন হতে পারে, এরকম একটা প্রচলিত ধারণা থেকে অনেকেই প্রেশার মাপতে যান ফার্মেসিতে। সেখানে সাধারণত যেটা যেটা হয়; ঔষধের দোকানদার প্রেশার মাপেন। তিনি প্রেশার ১৪০/৯০ এর আশেপাশে হলে হাই প্রেশার এবং এর কম হলে লো প্রেশার বলে একটা ঘোষণা দেন। এরপর হাই প্রেশার ক্ষেত্রে যে কোন একটা প্রেশারের ঔষধ এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে "লাল বড়ি" দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা একটা সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে শুরু হয় এক ধরনের ভুল চিকিৎসা।
যে রোগীর ব্লাড প্রেশার নরমাল, তার ক্ষেত্রে হাই ব্লাডপ্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ শুরু করলে প্রেশার বেশি কমে গিয়ে মাথা ঘোরানো বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া (Syncope) হতে পারে। আবার লো প্রেশার এর জন্য ফার্মেসি থেকে শুরু করা প্রচলিত ঔষধ "লাল বড়ি" (Frenxit / Renxit etc.) অনেকদিন এক নাগাড়ে খেলে সাইড এফেক্ট (Extrapyramidal effect) হতে পারে। এটা আসলে একধরনের স্বল্প মাত্রার এন্টিসাইকোটিক ঔষধ, যা মানসিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ আসলে Essential Hypertension, যার পেছনে একক কোন কারণ থাকে না। এর তেমন কোন লক্ষ্মণ ও নেই। দীর্ঘদিন ভুগতে থাকলে একসময় জটিলতার কারণে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়।
এ থেকে বাঁচতে তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা দরকার। মনে রাখতে হবে একবার রক্তচাপ মেপেই হাই প্রেশার হয়ে গেছে বলে দেয়া যায় না (ব্যতিক্রম আছে)। দুই থেকে তিনবার, আদর্শ কন্ডিশন মেনে রক্তচাপ মাপার পর বেশি আসলে তখনই উচ্চ রক্তচাপ বলে ডায়গনোসিস করে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব পরবর্তী লেখায়।
এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে বা কিছু যোগ করতে চাইলে কমেন্টে জানান।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
প্রেশারের কারণে এমন হতে পারে, এরকম একটা প্রচলিত ধারণা থেকে অনেকেই প্রেশার মাপতে যান ফার্মেসিতে। সেখানে সাধারণত যেটা যেটা হয়; ঔষধের দোকানদার প্রেশার মাপেন। তিনি প্রেশার ১৪০/৯০ এর আশেপাশে হলে হাই প্রেশার এবং এর কম হলে লো প্রেশার বলে একটা ঘোষণা দেন। এরপর হাই প্রেশার ক্ষেত্রে যে কোন একটা প্রেশারের ঔষধ এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে "লাল বড়ি" দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা একটা সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে শুরু হয় এক ধরনের ভুল চিকিৎসা।
যে রোগীর ব্লাড প্রেশার নরমাল, তার ক্ষেত্রে হাই ব্লাডপ্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ শুরু করলে প্রেশার বেশি কমে গিয়ে মাথা ঘোরানো বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া (Syncope) হতে পারে। আবার লো প্রেশার এর জন্য ফার্মেসি থেকে শুরু করা প্রচলিত ঔষধ "লাল বড়ি" (Frenxit / Renxit etc.) অনেকদিন এক নাগাড়ে খেলে সাইড এফেক্ট (Extrapyramidal effect) হতে পারে। এটা আসলে একধরনের স্বল্প মাত্রার এন্টিসাইকোটিক ঔষধ, যা মানসিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ আসলে Essential Hypertension, যার পেছনে একক কোন কারণ থাকে না। এর তেমন কোন লক্ষ্মণ ও নেই। দীর্ঘদিন ভুগতে থাকলে একসময় জটিলতার কারণে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়।
এ থেকে বাঁচতে তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা দরকার। মনে রাখতে হবে একবার রক্তচাপ মেপেই হাই প্রেশার হয়ে গেছে বলে দেয়া যায় না (ব্যতিক্রম আছে)। দুই থেকে তিনবার, আদর্শ কন্ডিশন মেনে রক্তচাপ মাপার পর বেশি আসলে তখনই উচ্চ রক্তচাপ বলে ডায়গনোসিস করে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব পরবর্তী লেখায়।
এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে বা কিছু যোগ করতে চাইলে কমেন্টে জানান।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ট্যাগসমূহ
#ঘাড় ব্যথা
#লো প্রেশার
#হাই প্রেশার
#উচ্চ রক্তচাপ
1 মন্তব্য
