Mental Health
2 মিনিট পড়ার সময়
এংজাইটি ডিজঅর্ডার
এংজাইটি ডিজঅর্ডারের প্রকার, লক্ষন, নির্ণয়, চিকিতসা পদ্ধতি

Dr. Srijony Ahmed
Medical Professional
124 day(s) ago
102 বার দেখা হয়েছে

এনজাইটি ডিজঅর্ডার
মানসিক রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং কমন একটি সমস্যা।
এনজাইটি ডিজঅর্ডার কয়েক ধরনের:
১৷ জেনারালাইজড এনজাইটি ডিজঅর্ডার: সারাক্ষনই উদ্বিগ্নতা থাকে, সাথে মাংসপেশীর ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ব্যথা অতিরিক্ত ঘাম, ক্লান্তিভাব, মনোযোগের সমস্যা, ঘুম না আসা, দু:স্বপ্ন এগুলো থাকে। কিশোর বয়স থেকে তরুন বয়সে শুরু হয়৷
২। প্যানিক ডিজঅর্ডার: এটা যেকোন বয়সে দেখা দিতে পারে৷ এটাতে হঠাতই তীব্র ভয় আসে এবং সাথে শারীরিক উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, পেটে চাপ, বুক হৃদপিন্ডের গতি বেড়ে যাওয়া, ঘাম, হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসা এবং মানসিক ভাবে মৃত্যুভয়/ খারাপ কিছু হওয়ার ভয় থাকে এবং ১০-১৫ মিনিটে এই ভয়ের তীব্রতা চলে যায়৷ তবে রুগী এই ভয়ের পর্ব নিয়েই খুব দু:শ্চিন্তায় থাকেন এবং জীবন অস্বাভাবিক হতে থাকে৷
৩। ফোবিক এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডার: এই রোগে নির্দিষ্ট কোন প্রানী, পরিবেশ, অবস্থার ক্ষেত্রে প্রচন্ড ভয় এবং এড়িয়ে যাওয়া কাজ করে এবং সেটার জন্য জীবনযাত্রা ব্যহত হয়৷ এর প্রকারভেদ আছে:
*সিম্পল বা স্পেসিফিক ফোবিয়া: কোন প্রানী যেমন কুকুর/বিড়াল/লোমশ প্রানী/আরশোলা/মাকড়সা; রক্ত, সার্জারী, দাঁতের চিকিতসা, হাসপাতাল, অন্ধকার, উচ্চতা এরকম কোন বিষয়ে ফোবিয়া কাজ করে।
*এগোরাফোবিয়া: খোলা জায়গায় একা যাওয়া/ গনপরিবহন/বিশাল বদ্ধ জায়গা যেমন শপিং কম্পলেক্স/ভীড়ের মধ্যে একা যাওয়া এসবে ফোবিয়া কাজ করে।
*সোশাল ফোবিয়া: সামাজিক কোন পরিস্থিতি যেমন দাওয়াত, রেস্টুরেন্টে খাওয়া, ক্লাসে কথা বলা, মঞ্চে কোন কথা বলা এসবে ফোবিয়া কাজ করে।
এই এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডার স্বাভাবিক ভয়ের মাত্রা অতিক্রম করে এবং রুগীর জীবনযাত্রা ব্যহত হয়।
তবে এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারের সমস্যাগুলো নিয়ে রুগী দিনের পর দিন উপসর্গ অনুযায়ী চিকিতসা নিতে থাকেন। অর্থ্যাত মাথাব্যথার জন্য ব্যথার ওষুধ, বুক ধড়ফড় করার জন্য হৃদপিন্ডের গতি কমানোর ওষুধ এরকম চলতে থাকে। এতে মূল রোগের চিকিতসা হয়না বিধায় কষ্ট থেকেই যায়।
*এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারগুলোর চিকিতসার প্রথম ধাপ হচ্ছে সেটা নির্নয় করা। রুগীর ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্নয় করা যায়৷
মনের অবস্থা বুঝার জন্য কোন ল্যাবরেটরি পরীক্ষা কিন্তু সাধারন ভাবে প্রচলিত নাই। এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারের রুগীর রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, ইসিজি, মাথার সিটি স্ক্যান এমআরআই পরীক্ষা, এন্ডোসকপি ইত্যাদি পরীক্ষার রিপোর্ট সাধারনত স্বাভাবিক থাকে। তবে, চিকিতসক পরীক্ষা নিরীক্ষা নেন যেন এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারের মতই লক্ষন থাকা শারীরিক রোগ নির্নয় করা যায়। যেমন- রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা এগুলো নির্নয় করা যায়।
* চিকিতসা: এই রোগগুলোর চিকিতসা করা হয় সমন্বিতভাবে। ওষুধ প্রয়োজন হয়, সাথে কিছু রিলাক্সেশন ব্যয়াম, জীবনাচরনের পরিবর্তন, কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি দেয়া হয়। এই চিকিতসা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিতে পারেন। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের কাছে রেফার করতে হয়।
* এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারে দীর্ঘদিন 'ঘুমের ওষুধ'/ 'মাথা ঠান্ডার ওষুধ' হিসেবে কিছু ওষুধ বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলো ক্লোনাজেপাম/ডায়াজেপাম/ ব্রোমাজেপাম গ্রুপের। এই ওষুধগুলোর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার ক্ষতিকর। তাই চিকিতসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধগুলো খেয়ে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ন।
মানসিক রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং কমন একটি সমস্যা।
এনজাইটি ডিজঅর্ডার কয়েক ধরনের:
১৷ জেনারালাইজড এনজাইটি ডিজঅর্ডার: সারাক্ষনই উদ্বিগ্নতা থাকে, সাথে মাংসপেশীর ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ব্যথা অতিরিক্ত ঘাম, ক্লান্তিভাব, মনোযোগের সমস্যা, ঘুম না আসা, দু:স্বপ্ন এগুলো থাকে। কিশোর বয়স থেকে তরুন বয়সে শুরু হয়৷
২। প্যানিক ডিজঅর্ডার: এটা যেকোন বয়সে দেখা দিতে পারে৷ এটাতে হঠাতই তীব্র ভয় আসে এবং সাথে শারীরিক উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, পেটে চাপ, বুক হৃদপিন্ডের গতি বেড়ে যাওয়া, ঘাম, হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসা এবং মানসিক ভাবে মৃত্যুভয়/ খারাপ কিছু হওয়ার ভয় থাকে এবং ১০-১৫ মিনিটে এই ভয়ের তীব্রতা চলে যায়৷ তবে রুগী এই ভয়ের পর্ব নিয়েই খুব দু:শ্চিন্তায় থাকেন এবং জীবন অস্বাভাবিক হতে থাকে৷
৩। ফোবিক এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডার: এই রোগে নির্দিষ্ট কোন প্রানী, পরিবেশ, অবস্থার ক্ষেত্রে প্রচন্ড ভয় এবং এড়িয়ে যাওয়া কাজ করে এবং সেটার জন্য জীবনযাত্রা ব্যহত হয়৷ এর প্রকারভেদ আছে:
*সিম্পল বা স্পেসিফিক ফোবিয়া: কোন প্রানী যেমন কুকুর/বিড়াল/লোমশ প্রানী/আরশোলা/মাকড়সা; রক্ত, সার্জারী, দাঁতের চিকিতসা, হাসপাতাল, অন্ধকার, উচ্চতা এরকম কোন বিষয়ে ফোবিয়া কাজ করে।
*এগোরাফোবিয়া: খোলা জায়গায় একা যাওয়া/ গনপরিবহন/বিশাল বদ্ধ জায়গা যেমন শপিং কম্পলেক্স/ভীড়ের মধ্যে একা যাওয়া এসবে ফোবিয়া কাজ করে।
*সোশাল ফোবিয়া: সামাজিক কোন পরিস্থিতি যেমন দাওয়াত, রেস্টুরেন্টে খাওয়া, ক্লাসে কথা বলা, মঞ্চে কোন কথা বলা এসবে ফোবিয়া কাজ করে।
এই এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডার স্বাভাবিক ভয়ের মাত্রা অতিক্রম করে এবং রুগীর জীবনযাত্রা ব্যহত হয়।
তবে এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারের সমস্যাগুলো নিয়ে রুগী দিনের পর দিন উপসর্গ অনুযায়ী চিকিতসা নিতে থাকেন। অর্থ্যাত মাথাব্যথার জন্য ব্যথার ওষুধ, বুক ধড়ফড় করার জন্য হৃদপিন্ডের গতি কমানোর ওষুধ এরকম চলতে থাকে। এতে মূল রোগের চিকিতসা হয়না বিধায় কষ্ট থেকেই যায়।
*এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারগুলোর চিকিতসার প্রথম ধাপ হচ্ছে সেটা নির্নয় করা। রুগীর ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্নয় করা যায়৷
মনের অবস্থা বুঝার জন্য কোন ল্যাবরেটরি পরীক্ষা কিন্তু সাধারন ভাবে প্রচলিত নাই। এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারের রুগীর রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, ইসিজি, মাথার সিটি স্ক্যান এমআরআই পরীক্ষা, এন্ডোসকপি ইত্যাদি পরীক্ষার রিপোর্ট সাধারনত স্বাভাবিক থাকে। তবে, চিকিতসক পরীক্ষা নিরীক্ষা নেন যেন এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারের মতই লক্ষন থাকা শারীরিক রোগ নির্নয় করা যায়। যেমন- রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা এগুলো নির্নয় করা যায়।
* চিকিতসা: এই রোগগুলোর চিকিতসা করা হয় সমন্বিতভাবে। ওষুধ প্রয়োজন হয়, সাথে কিছু রিলাক্সেশন ব্যয়াম, জীবনাচরনের পরিবর্তন, কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি দেয়া হয়। এই চিকিতসা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিতে পারেন। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের কাছে রেফার করতে হয়।
* এঞ্জাইটি ডিজঅর্ডারে দীর্ঘদিন 'ঘুমের ওষুধ'/ 'মাথা ঠান্ডার ওষুধ' হিসেবে কিছু ওষুধ বহুল ব্যবহৃত হয়। এগুলো ক্লোনাজেপাম/ডায়াজেপাম/ ব্রোমাজেপাম গ্রুপের। এই ওষুধগুলোর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার ক্ষতিকর। তাই চিকিতসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধগুলো খেয়ে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ন।
ট্যাগসমূহ
#উদ্বিগ্নতাজনিত রোগ
#সাইকোএডুকেশন
1 মন্তব্য
